-
サマリー
あらすじ・解説
ভূত কি কেউ নিজের চোখে দেখেছে? উত্তরটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো না। তার পরেও কেনো মানুষে ভয় পায়? এক দল ভূত বিশ্বাস না করলেও, প্যারানর্মাল কর্মকাণ্ডে হয় বলে মনে করেন। এবারের বার্ডস ভিউ -১৬ তম পর্বে আয়োজনে থাকছে, ভয়, ভূত ও প্যারানর্মাল নিয়ে আলাপচারিতা। অংশ নিচ্ছেন কলকাতা প্যারানর্মাল রিসার্চ সোসাইটির চারজন নির্ভীক গবেষকঃ সঙ্গত কুমার দত্ত, সৌমেন রায়, প্রণয় গাঙ্গগুলি, অভিষেক চক্রবর্তী।
ভূতে বিশ্বাস থাকুক কিংবা না থাকুক বেশীর ভাগ মানুষেরই অতি-প্রাকৃত (super natural) বিষয়গুলো উপর আগ্রহ দেখা যায়। প্রতি বছরই অতি-প্রাকৃত বিষয় নিয়ে লেখা গল্প, উপন্যাস, ছবিগুলো দারুণ ব্যবসা করে। পৃথিবীর এমন কোনো জায়গায় খুঁজে পাওয়া মুশকিল, যেখানে ভূত নিয়ে অতি-প্রাকৃত গল্প প্রচলিত নাই। এমনকি এমেরিকার প্রেসিডেন্টের সরকারী বাস ভবন হোয়াইট হাউস নিয়ে আছে প্রচুর শরীর শিউরে দেবার মতো সব অশরীরী ভূতের গল্প। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন খুন হন ১৮৬৫ সালের এপ্রিল মাসে। মৃত্যুর পরও তাকে হোয়াইট হাউসে দেখা গেছে বলে শোনা যায়। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন রুজভেল্ট (১৯৩৩-১৯৪৫)। তার আমন্ত্রণে নেদারল্যান্ডের রাণী উইলিমিয়া এমেরিকার বেড়াতে আসেন। হোয়াইট হাউসে তার জন্যে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। একরাতে তিনি দরজায় কাউকে টোকা দিতে শুনেন। তিনি দরজা খুলে দেখেন আব্রাহাম লিঙ্কনের অবয়বের কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছেন। রাণী উইলিমিয়া সাথে সাথেই জ্ঞান হারান। মজার ব্যাপার হলো লিঙ্কন যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তিনি নিজেও ভূত দেখার কথা বলেছিলেন। তার ছেলে উইলি ১৮৬২ সালে হোয়াইট হাউসে ১১ বছর বয়সে মারা যায়। উইলি না-কি প্রায়ই বাবার সাথে দেখা করতে আসতো। একবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় হোয়াইট হাউসের রোস গার্ডেন (Rose Garden) সরিয়ে নেয়ার। কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে ফিরে আসে। রোস গার্ডেনের নির্মাতা মৃত প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি ডলি মেডিসন তাদেরকে ভয় দেখান। রোস গার্ডেন সরিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। দু শত বছরের পুরনো বাগান আজও দেশী-বিদেশী অতিথিদের বিমোহিত করে চলেছে।